বিশেষ প্রতিবেদন,কলকাতা:
বিজেপিতে ভাঙন। সোমবার বাঁকুড়ার ওন্দায় দলে দলে গেরুয়া দলের কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূল নেতাদের দাবি, ওন্দার কল্যাণী গ্রাম–পঞ্চায়েত এলাকার লেদাসন গ্রামে ৫০০ জনেরও বেশি বিরোধী দলের কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অধিকাংশ কর্মীই এসেছেন বিজেপি থেকে। সিপিএম থেকে কিছু কর্মী এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
বিজেপি ও সিপিএম থেকে কর্মীরা যখন তৃণমূলে যোগ দেন, তখন উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল, বিধায়ক অরূপ খাঁ। তাঁরাই দলে আসা নতুন কর্মীদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন। শ্যামল সাঁতরা জানিয়েছেন, এখানেই শেষ নয়। আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে আরও অনেক বিজেপি এবং অন্য দলের কর্মীরা এসে তৃণমূলে যোগ দেবেন। এদিকে, তৃণমূলে আসা বিজেপি কর্মী মিঠুন মাঝি দাবি করেন, তিনি অনেক দিন ধরে বিজেপি করছেন। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে অনেক খেটেওছিলেন। কিন্তু ভোটে জেতার পর সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে নাকি এখন আর বাঁকুড়ায় দেখা যায় না। নির্বাচনে জেতার পর সৌমিত্র খাঁ মানুষের কথা ভুলে গিয়েছেন বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে তৃণমূল নেতারা মানুষের পাশে রয়েছেন। এখন আমি তাঁদের সঙ্গে মিলে জেলার উন্নয়নের কাজে যুক্ত হতে চাই।’
বাঁকুড়ার তৃণমূল জেলা সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল বলেন, ‘বিজেপি দলটাই বাঙালি বিরোধী দল। এই দলে কোনও বাঙালি কি ভালো ভাবে থাকতে পারেন? এতদিনে এই দলের এমন চরিত্রের কথা সাধারণ মানুষও জেনে গিয়েছেন। তাই সকলে দলে দলে তৃণমূলে আসছেন।’ যদিও তৃণমূলের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি হরকালি প্রতিহার জানিয়েছেন, বিজেপি ছেড়ে কোনও কর্মীই তৃণমূলে যাননি। তৃণমূল নেতারা নিজেদের দলের কর্মীদেরই বিজেপি সাজিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়াচ্ছেন। আর এ ভাবে তাঁরা দলনেত্রীর সহানুভূতি পেতে চাইছেন। এতে কোনও লাভ হবে না। মানুষ আর তৃণমূলের পাশে নেই।’